যুক্তি দিয়ে চিন্তা করলে ইসলামে আসলেই কী মানুষের স্বাধীন ইচ্ছা শক্তি বলে কিছুর অস্তিত্ব থাকে? ইসলাম যে কতটা অযৌক্তিক একটি ধর্ম, এই বিষয়গুলো বিশ্লেষণ করলেই পরিষ্কারভাবে বোঝা সম্ভব। আগের অধ্যায়গুলোতে সেগুলো বিস্তারিত আলোচিত হয়েছে। শুরুতেই আসুন তাফসীরে মাযহারী থেকে একটি পৃষ্ঠা পড়ে নেয়া যাক, [1]

এবারে আসুন একটি হাদিস পড়ি, যেখানে খুব পরিষ্কারভাবেই বলা হয়েছে, সবকিছু আগে থেকেই নির্ধারিত [2] –
সুনান আত তিরমিজী (তাহকীককৃত)
৩০/ তাকদীর
পরিচ্ছেদঃ ৩. সৌভাগ্য ও দুর্ভাগ্য
২১৩৫৷ আবদুল্লাহ ইবনু উমার (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, উমর (রাঃ) প্রশ্ন করেন, হে আল্লাহর রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) আমলের ক্ষেত্রে আপনার অভিমত কি? আমরা যেসব কাজ করি তা কি নতুনভাবে ঘটল না আগে থেকেই নির্ধারিত হয়ে আছে? তিনি বললেনঃ হে খাত্তাবের পুত্র! তা আগে থেকেই নির্ধারিত হয়ে আছে। আর সকলের করণীয় বিষয় সহজ করে রাখা হয়েছে। যারা সৌভাগ্যবানদের অন্তর্ভুক্ত তারা অবশ্যই সাওয়াবের কাজ সম্পাদন করে আর যারা দুর্ভাগ্যবানদের অন্তর্ভুক্ত তারা দুর্ভাগ্যজনক কাজই সম্পাদন করে থাকে।
সহীহ, যিলালুল জান্নাহ (১৬১, ১৬৭)।
আবূ ঈসা বলেন, আলী, হুযাইফা ইবনু উসাইদ, আনাস ও ইমরান ইবনু হুসাইন (রাঃ) হতেও এ অনুচ্ছেদে হাদীস বর্ণিত আছে। এ হাদীসটি হাসান সহীহ।
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবদুল্লাহ ইবন উমর (রাঃ)
আসুন এবারে আরেকটি হাদিস পড়ি, [3]

এবারে আরও একটি হাদিস পড়ি, যেখানে আল্লাহ বলছেন যে, তাকদীরের বিষয়াদি আল্লাহ নির্ধারণ করে রাখেন কারো পরোয়া না করেই। আল্লাহ সদম্ভে ঘোষণা করেন, তিনি কারোরই পরোয়া করেন না, যা ইচ্ছা যেভাবে ইচ্ছা সেভাবেই করেন [4]

ইসলামের অন্যতম মৌলিক বিশ্বাস হচ্ছে, তাকদীরে প্রতিটি সূক্ষ্মাতিসূক্ষ্ম বিষয়ই লিখিত এবং পূর্বনির্ধারিত। শুরুতেই আসুন ড আবু বকর যাকারিয়ার কিছু বক্তব্য শুনে নেয়া যাক,