Table of Contents
ভূমিকা
ইতিপূর্বে অন্য লেখাতে তৎকালীন পৌত্তলিক আরবে জন্ম নেয়া নবী মুহাম্মদের বাপ দাদার ধর্ম অবমাননার বিষয়টি আলোচিত হয়েছে [1]। অথচ এই একই নবী তার ধর্মে কোন সমালোচনার স্থান রাখেননি। নবী মুহাম্মদের সামান্যতম সমালোচনা, ভিন্ন মত, একাডেমিক ক্রিটিকাল এনালাইসিস তাই আজকের কোন মুসলিম বা ইসলামিক দেশে সম্ভব নয়। কেন নয় সেটি নিয়েই আমাদের এই প্রবন্ধ।
শাতিমে রাসুলের একমাত্র শাস্তি কতল
শাতিমে রাসুল বা নবী রাসুল সম্পর্কে সমালোচনা বা কটূক্তিকারীদের ইসলামী বিধানে সর্বোচ্চ শাস্তির বিধান রাখা হয়েছে। নবী মুহাম্মদের অবমাননা বলতে আসলে কী বোঝানো হয়, সেটি বোঝা বড় মুশকিল। কারণ বিভিন্ন ওয়াজে হুজুররা যখন বলেন, নবী মুহাম্মদ জঙ্গি ছিল, ইসলাম জঙ্গিবাদের ধর্ম, তখন মুমিনদের কাছে তা অবমাননা মনে হয় না।তারা সমস্বরে সেইসব ওয়াজ শুনে আল্লাহু আকবর বলে স্লোগান দেন। অথচ একই কথা নাস্তিকরা বললে সেই কথাটি অবমাননা হয়ে যায়। আসুন একটি ওয়াজ শুনি, দেখি এই কথাটি নবী অবমাননা কিনা। উল্লেখ্য, বাংলাদেশের একজন প্রখ্যাত আলেম এই ভিডিওতে নবী মুহাম্মদকে নিজেই জঙ্গি বলে আখ্যায়িত করছেন এবং জঙ্গিবাদের গুরুত্ব এবং মাহাত্ম্য প্রচার করছেন,
আবার ধরুন, নাস্তিকরা যখন বলেন, নবী মুহাম্মদ শিশুকামি বা পেডোফাইল ছিলেন, তখন মুমিনদের কাছে তা অবমাননাকর মনে হয়। একই কথা যখন হুজুরেরা আলহামদুলিল্লাহ সহকারে বলেন, সেই কথাটি শুনে মুমিনেরা সুবহানাল্লাহ পড়েন। তাহলে সমস্যাটি কোথায়? ভেবে দেখুন তো, ৫০ বছরের একজন বৃদ্ধ ৬ বছরেরও ছোট একটি মেয়েকে স্বপ্নে দেখে বিয়ে করার খায়েস করছেন, একে শিশুকামী বা পেডোফাইল ছাড়া আর কী বলা যায়?
আসুন আর একটি ওয়াজ শুনি। নাস্তিকরা যখন বলে, মেরাজের রাতে নবী মুহাম্মদ উম্মে হানীর ঘরে ছিল, সেইসব শুনে মুমিনেরা তাদের ফাঁসি চায়। অথচ একই কথা যখন হাজার হাজার ওয়াজে আলেমগণ বলনে, সেগুলো তারা ভক্তি সহকারে শেয়ার করেন। মাশাল্লাহ বলেন। সমস্যাটি কোথায়?
আহমদুল্লাহর বক্তব্য
আসুন বাংলাদেশের প্রখ্যাত আলেম আহমদুল্লাহর একটি পুরনো ভিডিও দেখে নেয়া যাক,
মতিউর রহমান মাদানি
এবারে আসুন ঐতিহাসিকভাবেই এই নবীর সমালোচকদের খুন করে ফেলা মুসলিমদের মধ্যে একটি সংস্কৃতি, সে সম্পর্কে একটি আলোচনা শুনি,
জামার একটি বোতাম ময়লা বললেও কতল
ইমাম মালিকের মতে, কেউ নবীর জামার একটি বোতাম ময়লা, এই কথা বললে তাকে মেরে ফেলতে হবে। আসুন একটি বই পড়ি [2]

ইযাহুল মুসলিম
এবারে আসুন, সহিহ মুসলিম গ্রন্থের শরাহ গ্রন্থ ইযাহুল মুসলিম থেকে [3] পড়ি,


নবীর মানহানির শাস্তি মৃত্যুদণ্ড
এখন আসুন, প্রখ্যাত ইসলামিক স্কলার মাওলানা মুহাম্মদ আবদুল মান্নানের লেখা থেকে এই সম্পর্কিত রেফারেন্সসমূহ দেখে নিই [4]


















তথ্যসূত্রঃ
- নবী মুহাম্মদ ছিলেন ধর্ম অবমাননাকারী ↩︎
- প্রিয় নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি অসাল্লামে অবমাননার শাস্তি, পৃষ্ঠা ৫১ ↩︎
- ইযাহুল মুসলিম, মাওলানা আবু বকর সিরাজী, পৃষ্ঠা ৪০৮ ↩︎
- নবীর মানহানির শাস্তি মৃত্যুদণ্ড, মাওলানা মুহাম্মদ আবদুল মান্নান, পৃষ্ঠা ৭-১০, ১২-১৩ ↩︎
