02.এপিকিউরাসের প্যারাডক্সঃ অমঙ্গল বিষয়ক জটিলতা

ভূমিকা

ঈশ্বরের অস্তিত্ব এবং তার অসীম করুণাময়, সর্বশক্তিমান, সর্বজ্ঞানের ধারণা নিয়ে দর্শনশাস্ত্রে দীর্ঘদিন ধরে বিতর্ক চলে আসছে। এই বিতর্কের কেন্দ্রে রয়েছে অমঙ্গল বা দুঃখ বা কষ্টের সমস্যা (Problem of Evil)। গ্রিক দার্শনিক এপিকিউরাস (৩৪১-২৭০ খ্রিষ্টপূর্ব) এই সমস্যা নিয়ে গভীরভাবে চিন্তা করেন এবং তাঁর সময়ে এই বিষয়ে একটি বিখ্যাত প্যারাডক্স উত্থাপন করেন, যা “এপিকিউরাসের প্যারাডক্স” বা “অমঙ্গলের জটিলতা” নামে পরিচিত। এই প্যারাডক্সটি মূলত ঈশ্বরের সর্বশক্তিমত্তা এবং কষ্টের অস্তিত্বকে একইসাথে অবস্থান করাকে প্রশ্নবিদ্ধ করে। এই প্রবন্ধে আমরা এপিকিউরাসের প্যারাডক্স, এর দার্শনিক ভিত্তি এবং এর উত্তর দেওয়ার চেষ্টা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করবো।

এপিকিউরাসের প্যারাডক্স: মূল প্রশ্ন

এপিকিউরাসের প্যারাডক্স মূলত মানুষের অমঙ্গল না কষ্টের সমস্যার দিকে ইঙ্গিত করে। যদি ঈশ্বর অসীম করুণাময়, সর্বশক্তিমান ও সর্বজ্ঞানী হন, তাহলে নানা কারণে অমঙ্গল বা কষ্ট বা দুঃখ কেন পৃথিবীতে বিদ্যমান? এপিকিউরাস তার প্যারাডক্সে তিনটি প্রশ্ন উত্থাপন করেন যা ঈশ্বরের করুণাময়টা, সর্বশক্তিমত্তা ও কষ্টের অস্তিত্বের মধ্যে সম্পর্ক নিয়ে এক গভীর দ্বন্দ্ব তৈরি করে। তাঁর যুক্তি ছিল:

  1. ঈশ্বর দুঃখ দুর করতে অক্ষমঃ ঈশ্বর যদি কষ্ট দূর করার ইচ্ছা রাখেন, কিন্তু কষ্ট দূর করার ক্ষমতা না থাকে, তাহলে তিনি সর্বশক্তিমান নন।
  2. ঈশ্বর সক্ষম, ইচ্ছুক ননঃ ঈশ্বর যদি কষ্ট দূর করার ক্ষমতা রাখেন, কিন্তু তা করতে ইচ্ছুক না হন, তবে তিনি অসীম করুণাময় বা সর্বমঙ্গল নন।
  3. ঈশ্বর সক্ষম, একইসাথে ইচ্ছুকঃ যদি ঈশ্বর কষ্ট দূর করার ক্ষমতা এবং ইচ্ছা উভয়ই রাখেন, তবে কেন পৃথিবীতে অমঙ্গল, কষ্ট ও দুঃখ বিদ্যমান?

এপিকিউরাসের এই প্রশ্নগুলো ঈশ্বরের অস্তিত্ব এবং তার প্রকৃতির ধারনা সম্পর্কে দার্শনিক চিন্তা থেকে গভীর প্রভাব ফেলে। তিনি মূলত কষ্টের অস্তিত্বকে ঈশ্বরের সর্বশক্তিমত্তার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয় বলে অভিহিত করেন। তাঁর মতে, ঈশ্বর যদি সর্বশক্তিমান, সর্বজ্ঞ এবং অসীম করুণাময় হন, তবে যৌক্তিকভাবে দুঃখ-দুর্দশার কোনো অস্তিত্ব থাকা সম্ভব নয়।

অমঙ্গলের সমস্যা: একটি দার্শনিক পর্যালোচনা

অমঙ্গলের সমস্যা (Problem of Evil) দর্শনশাস্ত্রে সবচেয়ে বিতর্কিত এবং প্রভাবশালী সমস্যাগুলোর একটি। অমঙ্গলের সমস্যা বলতে বোঝায় যে, পৃথিবীতে বিদ্যমান সকল কষ্ট, দুঃখ এবং দুর্ভোগের সাথে ঈশ্বরের সর্বশক্তিমত্তা, সর্বজ্ঞতা, এবং অসীম করুণাময় চরিত্র একসঙ্গে মানা কি সম্ভব? এই প্রশ্নগুলো বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে ধর্মীয় বিশ্বাসের পরিপ্রেক্ষিতে। বেশিরভাগ ধর্মেই ঈশ্বরকে সর্বশক্তিমান, সর্বজ্ঞ এবং সর্বমঙ্গল হিসেবে চিত্রিত করা হয়। কিন্তু দুঃখ এবং দুর্দশার অস্তিত্ব সেই ধারণার সঙ্গে বিরোধ সৃষ্টি করে। এই দ্বন্দ্বের কারণে যৌক্তিক সিদ্ধান্ত এটিই হতে পারে যে, এই চারিত্রিক বৈশিষ্ঠ্যগুলো একটি আরেকটির সাথে সংঘাত সৃষ্টি করে বিধায়, এগুলো একই সাথে থাকা সম্ভব নয়।

দার্শনিক ডেভিড হিউম তার “Dialogues Concerning Natural Religion” গ্রন্থে উল্লেখ করেছেন, “যদি ঈশ্বর ইচ্ছা করেন কষ্ট দূর করতে কিন্তু সক্ষম না হন, তবে তিনি দুর্বল; যদি সক্ষম হন কিন্তু ইচ্ছুক না হন, তবে তিনি অসীম করুণা নন; যদি উভয়ই হন, তবে কষ্টের অস্তিত্ব কীভাবে ব্যাখ্যা করা যায়?” [1]

এই প্রশ্নগুলো ধর্মীয় বিশ্বাসের মৌলিক ধারণার প্রতি একটি চ্যালেঞ্জ হিসেবে কাজ করে। ঈশ্বরের সর্বশক্তিমান ও সর্বমঙ্গলের ধারণাকে মেনে নিলে, অমঙ্গলের অস্তিত্ব একটি গভীর যুক্তিগত দ্বন্দ্ব তৈরি করে। কষ্ট ও দুঃখ যদি বাস্তব হয়, তবে ঈশ্বরের করুণা এবং শক্তি নিয়ে প্রশ্ন ওঠে।

এপিকিউরাসের যুক্তির কাঠামো

এপিকিউরাসের প্যারাডক্স মূলত তিনটি কেন্দ্রীয় ধারণার ওপর ভিত্তি করে গড়ে উঠেছে:

  1. সর্বশক্তিমান ঈশ্বর: ঈশ্বর যদি সর্বশক্তিমান হন, তবে পৃথিবীতে বিদ্যমান সব ধরনের কষ্ট এবং দুঃখ তিনি দূর করতে সক্ষম হওয়া উচিত।
  2. সর্বমঙ্গল ঈশ্বর: ঈশ্বর যদি সর্বমঙ্গল হন, তাহলে দুঃখ এবং কষ্ট থাকা কোনোভাবেই তাঁর ইচ্ছার বিরুদ্ধে যাওয়া উচিত নয়। তিনি অবশ্যই কষ্ট দূর করতে ইচ্ছুক থাকবেন।
  3. দুঃখের অস্তিত্ব: দুঃখ এবং কষ্টের অস্তিত্ব বাস্তব এবং আমরা প্রতিদিন এর সাক্ষী।

এপিকিউরাসের প্রশ্ন হলো, যদি ঈশ্বর এই তিনটি গুণের অধিকারী হন, তাহলে কীভাবে কষ্ট এবং দুঃখ বিদ্যমান থাকতে পারে? যদি তিনি কষ্ট দূর করার ক্ষমতা রাখেন এবং তা করতে ইচ্ছুক হন, তবে দুঃখ কেন শেষ হয় না?

থিওডিসি: দুঃখের সমস্যার সম্ভাব্য সমাধান

এপিকিউরাসের প্যারাডক্সের উত্তর দিতে ধর্মীয় চিন্তাবিদরা বিভিন্ন পন্থা অবলম্বন করেছেন, যার মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো থিওডিসি (Theodicy)। থিওডিসি হলো একটি দার্শনিক ও ধর্মীয় প্রচেষ্টা, যার মাধ্যমে ঈশ্বরের সর্বশক্তিমান এবং সর্বমঙ্গল হওয়ার ধারণার সঙ্গে কষ্টের অস্তিত্বকে সামঞ্জস্যপূর্ণ করার চেষ্টা করা হয়।

১. স্বাধীন ইচ্ছার যুক্তি

অমঙ্গল বিষয়ক জটিলতার একটি জনপ্রিয় সমাধান হলো স্বাধীন ইচ্ছার যুক্তি। এই যুক্তি অনুসারে, ঈশ্বর মানুষকে স্বাধীন ইচ্ছার অধিকার দিয়েছেন, এবং মানুষকে সঠিক এবং ভুলের মধ্যে বেছে নেওয়ার স্বাধীনতা দিয়েছেন। কিন্তু মানুষ প্রায়ই ভুল কাজ করে এবং এর ফলে অমঙ্গল বা কষ্ট সৃষ্টি হয়। ঈশ্বর যদি মানুষের স্বাধীন ইচ্ছাকে বাধা দেন, তবে তা ঈশ্বরের সৃষ্টির উদ্দেশ্যের বিরুদ্ধে যাবে। ফলে, কষ্ট মানবজাতির ভুলের ফলস্বরূপ এবং এটি ঈশ্বরের সর্বশক্তিমত্তার সাথে সাংঘর্ষিক নয়। অগাস্টিন এবং আলভিন প্লান্টিংগা এই তত্ত্বের পক্ষে যুক্তি দিয়েছেন। প্লান্টিংগা তার “God, Freedom, and Evil” বইতে বলেছেন, স্বাধীন ইচ্ছা কষ্টের কারণ হলেও এটি ঈশ্বরের সর্বশক্তিমান ধারণার বিপরীতে যায় না। ঈশ্বর মানুষকে স্বাধীনতা দিয়েছেন, এবং এই স্বাধীনতার অপব্যবহারের ফলে দুঃখের জন্ম হয়। [2]

তবে এই সমাধানটির বেশ কয়েকটি ত্রুটি রয়েছে। এতে যেই সমস্যাটি তৈরি হয়, তা হচ্ছে, ঈশ্বর আমাদের মানুষের স্বাধীন ইচ্ছার ওপর নির্ভরশীল হয়ে যান। অর্থাৎ ঈশ্বরের সার্বভৌমত্ব এখানে সংকুচিত হয়ে যায়। ঈশ্বর আমাদের ওপর নির্ভরশীল হয়ে ওঠেন। অর্থাৎ, আমাদের ভাগ্য আমরাই নির্ধারণ করি, এক্ষেত্রে ঈশ্বর শুধুমাত্র একজন নীরব দর্শক ছাড়া আর কিছুই হতে পারেন না। ঈশ্বরের একজন পর্যবেক্ষকের চরিত্রটি অনেকগুলো ধর্মের ঈশ্বরের ধারনার সাথে সাংঘর্ষিক।

একইসাথে, আরেকটি সমস্যা হচ্ছে, পশুপাখিদের অমঙ্গল বা কষ্টের কারণ কী? আব্রাহামিক ধর্মমতে, পশুপাখি স্বাধীন ইচ্ছার অধিকারী নয়। তাহলে তারা কষ্ট পাচ্ছে কেন? কার দোষে?


২. আত্মিক বিকাশের যুক্তি

আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ থিওডিসি হলো আত্মিক বিকাশের যুক্তি। এই যুক্তি অনুসারে, দুঃখ এবং কষ্ট মানুষের আত্মিক বিকাশের একটি অংশ। ঈশ্বর মানুষকে কষ্ট এবং দুর্ভোগের মাধ্যমে শিক্ষিত করেন এবং পরিণত করেন। যেমন, ব্যথা এবং দুঃখ ছাড়া মানুষ কখনো প্রকৃত সুখ এবং আত্মিক উন্নতি বুঝতে পারবে না। এই দৃষ্টিভঙ্গি অনুসারে, দুঃখ এবং দুর্ভোগ ঈশ্বরের ভালো ইচ্ছারই একটি অংশ। এই ধারণাটি প্রখ্যাত দার্শনিক জন হিক তার বই “Evil and the God of Love”-এ সমর্থন করেন। তাঁর মতে, ঈশ্বর আমাদের কষ্টের মধ্যে দিয়ে জীবনের মূল্য উপলব্ধি করাতে চান এবং আমাদের আত্মিকভাবে পরিপূর্ণ করতে চান। অর্থাৎ দুঃখ এবং কষ্ট মানুষের জন্য ভাল ও উপকারী, আমরা শুধু তা জানি না বা বুঝতে চাই না। [3]

কিন্তু এই যুক্তির ত্রুটি হচ্ছে, এই যুক্তি অনুসারে ব্যথা এবং দুঃখ ছাড়া মানুষ কখনো প্রকৃত সুখ এবং আত্মিক উন্নতি বুঝতে পারবে না! যা ঈশ্বরের সর্বশক্তিমান হওয়ার সাথে মৌলিক সংঘাত সৃষ্টি করে। ঈশ্বরের কী ব্যথা এবং দুঃখ ছাড়া মানুষকে শিক্ষা দান করা সম্ভব নয়? ঈশ্বরের পক্ষে কী তা অসম্ভব? অসম্ভব হলে, তিনি সর্বশক্তিমান কীভাবে?

এই যুক্তির আরও ত্রুটি পরিলক্ষিত হয়, একটি ছয়মাসের বাচ্চা শিশু যখন বোমার আঘাতে মৃত্যুবরণ করে। এই কষ্ট বা ব্যথা লাভের মাধ্যমে এই শিশুটি কী শিক্ষা পাচ্ছে? তার কী কোন পরীক্ষা হচ্ছিল? সেই পরীক্ষার ফলাফল কী? পরীক্ষা দিয়ে ছয়মাসের মৃত শিশুটি কী শিক্ষা পেলো? তার কতটা প্রকৃত সুখ এবং আত্মিক উন্নতি হল? এই মৃত শিশুটির মৃত্যু দেখে অন্যদেরও বা কী কী প্রকৃত সুখ এবং আত্মিক উন্নতি হচ্ছে?

প্যারাডক্স

৩. মহাজাগতিক পরিকল্পনার যুক্তি

অনেক ধর্মীয় চিন্তাবিদ মনে করেন, আমরা ঈশ্বরের পরিকল্পনার সবকিছু বুঝতে সক্ষম নই। ঈশ্বর একটি মহাজাগতিক পরিকল্পনা অনুসারে কাজ করেন, যা আমাদের সাধারণ মানুষের সীমিত জ্ঞানের বাইরে। দুঃখ এবং কষ্ট ঈশ্বরের বৃহত্তর উদ্দেশ্যের একটি অংশ হতে পারে, যা আমাদের বোধগম্য নয়। এই যুক্তি অনুসারে, ঈশ্বরের সবকিছু জানা এবং আমরা যা দেখি তার বাইরে আরও বৃহত্তর উদ্দেশ্য থাকতে পারে। এটি প্লেটো এবং লেইবনিজেরর চিন্তাধারায় প্রতিফলিত হয়, যারা মনে করেন দুঃখ এবং কষ্ট বৃহত্তর একটি সত্তার জন্য অপরিহার্য হতে পারে। বৃহত্তর স্বার্থে এইসব ক্ষুদ্র দুঃখ কষ্ট সহ্য করাই আমাদের কর্তব্য। [4]

কিন্তু এই যুক্তিটির ত্রুটি হচ্ছে, যুক্তিটি আর্গুমেন্ট ফরম ইগনোরেন্স ফ্যালাসির ওপর গড়ে ওঠে, যা মৌলিকভাবে একটি কুযুক্তি। একে কোনভাবেই যুক্তি হিসেবে গ্রহণ করা যায় না, যেহেতু এড় ভিত্তিই হচ্ছে মানুষের অজ্ঞতা, এবং সেই অজ্ঞতার দোহাই দিয়ে কোন দাবির প্রতিষ্ঠা।


সমালোচনা এবং প্রত্যুত্তর

এপিকিউরাসের প্যারাডক্স অমঙ্গল বা কষ্ট এবং ঈশ্বরের সর্বশক্তিমানের ধারণার ওপর গভীর প্রভাব ফেলেছে। অনেক দার্শনিক এটিকে ধর্মীয় বিশ্বাসের জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখেছেন। যদিও থিওডিসি এবং অন্যান্য দার্শনিক যুক্তি এই সমস্যার কিছু সমাধান দিতে চেষ্টা করেছে, কিন্তু সেই সমাধানগুলোর প্রায় সবগুলোই লজিক্যাল ফ্যালাসির দোষে দুষ্ট। তাই দর্শন জগতে এপিকিউরাসের এই প্রবএ,ম অফ ইভিল এখনো প্রভাববিস্তারকারী একটি যুক্তি, যাড় যৌক্তিক উত্তর দেয়া ধর্মবাদীদের পক্ষে এখন সম্ভব হয়নি। অনেকে অনেক জবাব দেয়াড় চেষ্টা করেছেন বটে, তবে সমস্যা হচ্ছে অনেক ক্ষেত্রেই আস্তিক দার্শনিকদের উত্থাপিত যুক্তিগুলো প্রতিষ্ঠিত সকল ধর্মের ঈশ্বর ধারনার সরাসরি বিরোধিতা করে।

উপসংহার

এপিকিউরাসের প্যারাডক্স ধর্মতত্ত্ব এবং দর্শনের একটি গুরুত্বপূর্ণ এবং চিরন্তন প্রশ্ন। এটি ঈশ্বরের সর্বশক্তিমান, সর্বজ্ঞানী, এবং সর্বমঙ্গলের ধারণাকে কষ্টের অস্তিত্বের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ করতে আমাদের বাধ্য করে। ধর্মীয় দৃষ্টিভঙ্গি থেকে থিওডিসির মাধ্যমে কিছু সমাধান দেওয়া হয়েছে, তবে এপিকিউরাসের প্যারাডক্স এখনও গভীর দার্শনিক বিতর্কের একটি মূল বিষয় হিসেবে রয়ে গেছে। “অমঙ্গল বিষয়ক জটিলতা” আমাদেরকে ঈশ্বরের প্রকৃতি এবং তার পরিকল্পনার গভীরতায় প্রবেশ করতে সাহায্য করে এবং আমাদের চিন্তাশীলতাকে প্রসারিত করে।

তথ্যসূত্র

  1. Hume, D. 1779, Dialogues Concerning Natural Religion []
  2. Plantinga, A. 1974, God, Freedom, and Evil []
  3. Hick, J. 1966, Evil and the God of Love []
  4. Leibniz, G.W. 1710, Essays on Theodicy []


সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত © ২০২৪ "সংশয় - চিন্তার মুক্তির আন্দোলন"