আধুনিক বিজ্ঞানের মতে, হাই তোলা বা Yawning মূলত মস্তিষ্কের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ এবং অক্সিজেন সরবরাহের সাথে সম্পর্কিত। আধুনিক বিজ্ঞানীদের একটি বড় অংশ মনে করেন, রক্তে কার্বন ডাই অক্সাইডের পরিমাণ বৃদ্ধি পেলে শরীরের একটি স্বাভাবিক প্রক্রিয়া হচ্ছে হাই তুলে অক্সিজেনের মাত্রা বৃদ্ধি করা। হাই তোলার প্রক্রিয়াটি আমাদের শরীরের শীতলীকরণ এবং মস্তিষ্ককে সতেজ করার একটি উপায় হিসেবে কাজ করে। হাই তোলার সময় আমরা গভীরভাবে শ্বাস নিই, যার ফলে ফুসফুসে অক্সিজেন প্রবাহ বাড়ে এবং মস্তিষ্কের তাপমাত্রা কিছুটা কমে যায়। এটি মূলত ক্লান্তি, নিদ্রালুতা বা বোরিং পরিবেশের সময় ঘটে।
অন্য আরেকটি তত্ত্ব বলে যে, হাই তোলা সামাজিক বা শারীরিক সংকেত হিসেবে কাজ করে, যা মানুষ এবং অন্যান্য প্রাণীদের মধ্যে সতর্কতা বা ক্লান্তির জানান দেয়। এছাড়াও, হাই তুলতে পারে ক্লান্তি, অবসাদ বা মনোযোগের ঘাটতির সময়, যাতে শরীর নিজেকে সজাগ রাখতে চেষ্টা করে। কিছু বিজ্ঞানীরা মনে করেন, এটি সামাজিক বা সংক্রামক প্রভাবও থাকতে পারে, কারণ আমরা অন্যকে হাই তুলতে দেখলে প্রায়শই নিজেরাও হাই তুলি, যা সামাজিক সংযোগের সাথে সম্পর্কিত। কিন্তু ইসলামের বিশ্বাস হচ্ছে, হাই তোলা একটি শয়তানের কাজ। শয়তানি এই কাজটি করায়। সেই সাথে নবী এটি নির্দেশ দিয়েছেন যে, হাই আসলে তা চেপে রাখতে হবে!
সহীহ বুখারী (তাওহীদ পাবলিকেশন)
৫৯/ সৃষ্টির সূচনা
পরিচ্ছেদঃ ৫৯/১১. ইবলীস ও তার বাহিনীর বর্ণনা।
৩২৮৯. আবূ হুরাইরাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, হাই তোলা শয়তানের পক্ষ হতে হয়ে থাকে। কাজেই তোমাদের কারো যখন হাই আসবে তখন যথাসম্ভব তা রোধ করবে। কারণ তোমাদের কেউ হাই তোলার সময় যখন ‘হা’ বলে, তখন শয়তান হাসতে থাকে। (৬২২৩, ৬২২৬) (মুসলিম ৫৩/৯ হাঃ ২৯৯৪) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৩০৪৭, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৩০৫৬)
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)