আল বিদায়া ওয়ান নিহায়া গ্রন্থ থেকে জানা যায়, নবীর এই খাবার ব্যাপারে অতিরিক্ত লোভ লালসা এবং অতিরিক্ত নারী লোভ নিয়ে ইহুদীরা নবীকে কটাক্ষ করে বলতেন, এই লোকের আহারে পরিতৃপ্তি হয় না, এই লোক নারী ছাড়া আর কিছু বুঝে না [1] –
অনেক মুসলিমকেই আজকাল বলতে শোনা যায় যে, নবী নাকি খুবই অল্প খেতেন, এবং অল্প খেতে পরামর্শ দিতেন। এমনকি, অল্প আহার করা নাকি নবীর সুন্নতও। অথচ সহিহ হাদিস বলে ভিন্ন কথা। নবী খাবারের ব্যাপারে ভয়াবহ লোভীই ছিলেন বলে হাদিস থেকে বোঝা যায়। আসুন হাদিসগুলো পড়ি, যেখানে দেখা যায়, একটি বকরী বা ছাগলের দুই দুইটি সামনের রান খাবার পরেও নবী আরও রান চাইতেন। আপনি ভাবুন তো, মাঝারি সাইজের একটি বকরী বা ছাগলের সামনের রানে কওয় কেজি মাংস হয়? দুই দুইটি রান খাবার পরেও একজন কীভাবে আরও রান চাইতে পারে? [2] [3] –
সহীহ শামায়েলে তিরমিযী
২৬. রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর তরকারীর বর্ণনা
১২৬. আবু উবায়দ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি একবার নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর জন্য এক ডেগ গোশত রান্না করলাম। তিনি বকরীর সামনের উরুর গোশত অধিক পছন্দ করতেন। তাই আমি তাকে সামনের একটি পা দিলাম। তারপর তিনি বললেন, আমাকে সামনের আরেকটি পা দাও। তখন আমি তাকে সামনের আরেকটি পা দিলাম। তারপর তিনি পুনরায় বললেন, আমাকে সামনের আরেকটি পা দাও। তখন আমি বললাম, হে আল্লাহর রাসূল! বকরীর সামনের পা কয়টি থাকে? তিনি বললেন, সে মহান সত্তার কসম, যার হাতে আমার জীবন! যদি তুমি চুপ থাকতে তাহলে আমি যতক্ষণ সামনের পা চাইতাম, ততক্ষণ তুমি দিতে পারতে।[1]
[1] মুজামুল কাবীর, হা/১৮২৮৬; মুসনাদে বাযযার, হা/৮৩৪৫।
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)
ভূমিকা
পরিচ্ছেদঃ ৭. খাদ্যে বরকত প্রদানের মাধ্যমে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে যে মর্যাদা প্রদান করা হয়েছে
৪৫. শাহর ইবনু হাওশাব, আবু উবাইদ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণনা করেন, তিনি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের জন্য এক হাঁড়ি (গোশত) রান্না করলেন। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাকে বললেন: ’আমাকে সামনের একটি রান দাও।’ তিনি সামনের রানের গোশত পছন্দ করতেন। সে তাঁকে সামনের রান দিল। তিনি আবার বললেন: ’আমাকে সামনের রান দাও।’ তখন সে তাঁকে সামনের রান দিল। তিনি আবারও বললেন: ’আমাকে সামনের রান দাও।’ তখন আমি তাকে বললাম, হে আল্লাহর রাসূল! একটি ছাগলের সামনের রান কয়টি হয়? তিনি উত্তরে বললেন: ’যার হাতে আমার প্রাণ সেই মহান সত্তার কসম! তুমি যদি চুপ থাকতে তাহলে যতক্ষণ আমি চাইতাম ততক্ষণ তুমি আমাকে সামনের রান দিতেই থাকতে।’[1]
[1] তাহক্বীক্ব: সনদ হাসান, শাহর ইবনু হাওশাবের কারণে।
তাখরীজ: তাবারানী, কাবীর ২২/৩৩৫ নং ৮৪২; তিরমিযী, শামাইল ১৭০।
হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan)
তথ্যসূত্র
- আল বিদায়া ওয়ান নিহায়া, দ্বিতীয় খণ্ড, ইসলামিক ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ, পৃষ্ঠা ৩৯, ৪০ [↑]
- সহীহ শামায়েলে তিরমিযী, হাদিস নম্বরঃ ১২৬ [↑]
- সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি), হাদিস নম্বরঃ ৪৫ [↑]
সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত © ২০২৪ "সংশয় - চিন্তার মুক্তির আন্দোলন"