মুহাম্মদের জীবনী থেকে জানা যায়, জবাই করার আগেই কোরবানীর পশু কুজ ধারালো অস্ত্র দিয়ে ফেঁড়ে দিয়ে রক্তাক্ত করে দিতেন তিনি। একটি পশুকে কিছুক্ষণ পরে আল্লাহর নামে জবাই করা হবে, সেই পশুটিকে অহেতুক এরকম কষ্ট দেয়ার কী অর্থ থাকতে পারে, আমি জানি না। যদি কোরবানীর পশু হিসেবে চিহ্নিত করাই উদ্দেশ্যে হয়ে থাকে, সেটি তো নানাভাবেই করা যায়। তার জন্য পশুটিকে কেটে রক্তাক্ত করে কষ্ট দেয়া কীভাবে মানবিক কোন কাজ হতে পারে? [1]
সহীহ মুসলিম (ইসলামিক ফাউন্ডেশন)
১৬/ হাজ্জ (হজ্জ/হজ)
পরিচ্ছেদঃ ২৭. ইহরাম বাঁধার সময় কুরবানীর পশুর কুজের কিছু অংশ ফেড়ে দেওয়া এবং গলায় মালা পরানো
২৮৮৬। মুহাম্মাদ ইবনু মূসান্না ও ইবনু বাশশার (রহঃ) … ইবনু আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যুল-হুলায়ফা নামক স্থানে যোহরের সালাত আদায় করলেন। তারপর নিজের (কুরবানীর) উষ্ট্রী নিয়ে আসতে বললেন এবং কুজের ডান দিক দিয়ে ফেঁড়ে দিলেন। ফলে রক্ত প্রবাহিত হল। অতঃপর উষ্ট্রী এর গলায় দু’টি পাদুকার মালা পরিয়ে দিলেন। এরপর নিজের বাহনে আরোহণ করলেন। তারপর তা যখন তাঁকে নিয়ে আল বায়দায় পৌছলেন, তখন তিনি হাজ্জের (হজ্জ) তালবিয়া পাঠ করলেন।
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবদুল্লাহ ইবনু আব্বাস (রাঃ)
ইসলামিক দাইয়ীরা নিশ্চিতভাবেই এই হাদিস নিয়ে নানা ধরণের মিথ্যাচার শুরু করবে কারণ আরেকটি হাদিসে পশুকে বিকৃত করতে নিষেধ করা হয়েছে। এই কারণে এই হাদিসের সাথে হাদিসের ব্যাখ্যা সহকারে দেয়া হচ্ছে [2]
এবারে আসুন আল আওনুল মাহমুদ ফি-হল্লি সুনানে আবী দাউদ গ্রন্থ থেকে দেখে নেয়া যাক, [3] –
তথ্যসূত্র
- সহীহ মুসলিম, ইসলামিক ফাউন্ডেশন, হাদিসঃ ২৮৮৬ [↑]
- সহিহ মুসলিম শরীফ (প্রয়োজনীয় ব্যাখ্যাসহ বঙ্গানুবাদ), আল হাদীছ প্রকাশনী, ১২ তম খণ্ড, পৃষ্ঠা ১০৪, ১০৫ [↑]
- আল আওনুল মাহমুদ ফি-হল্লি সুনানে আবী দাউদ , সংকলন ও সম্পাদনাঃ মাওলানা আব্দুর হাফীজ বিন আব্দুর রঊফ, আল মাহমূদ প্রকাশনী, পৃষ্ঠা ২২৯ [↑]
সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত © ২০২৪ "সংশয় - চিন্তার মুক্তির আন্দোলন"