নবী মুহাম্মদ শিশু আয়িশাকে বিয়ের আগে স্বপ্নে দেখতেন [1]। স্বপ্নগুলোও খুবই আগ্রহ উদ্দীপক। কারণ এরকম স্বপ্ন আমি কোন শিশু মেয়ে সম্পর্কে দেখলে(যদিও আমি সেরকম স্বপ্নও দেখবো না) ঘুণাক্ষরেও আমার মাথায় বিবাহের কথা আসতো না। হয়তো তখন আমি মেয়েটিকে নিজের আপন মেয়ের মতই ভাবতাম। কিন্তু নবী এই স্বপ্ন দেখে কীভাবে বুঝলেন যে, আল্লাহ তাকে ঐ শিশু কন্যাকে বিবাহ করতে হুকুম দিচ্ছেন, এটিও এক বিষ্ময়কর ব্যাপার!
সহীহ বুখারী (ইসলামিক ফাউন্ডেশন)
৫৪/ বিয়ে-শাদী
পরিচ্ছেদঃ ২৪৩৪. কুমারী মেয়ের শাদী সম্পর্কে। ইবন আবী মুলায়কা (র) বলেন, ইবন আব্বাস (রা) আয়িশা (রা)-কে বললেন, আপনাকে ছাড়া নবী (সা) আর কোন কুমারী মেয়ে শাদী করেননি।
৪৭০৭। উবায়দুল্লাহ্ ইবনু ইসমাঈল (রহঃ) … আয়িশা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, দু’বার করে আমাকে স্বপ্নযোগে তোমাকে দেখানো হয়েছে। এক ব্যাক্তি রেশমী কাপড়ে জড়িয়ে তোমাকে নিয়ে যাচ্ছিল, আমাকে দেখে বলল, এই হচ্ছে তোমার স্ত্রী। তখন আমি পর্দা খুলে দেখি, সে তুমিই। তখন আমি বললাম, এ স্বপ্ন যদি আল্লাহর পক্ষ থেকে হয়, তবে তিনি বাস্তবে পরিণত করবেন।
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আয়িশা (রাঃ)
এবারে আসুন মিজানুর রহমান আজহারীর বক্তব্য শুনি। এই লেখাতেই জানবেন, খাদিজার মৃত্যুর একমাসের মধ্যে আয়িশাকে মুহাম্মদ বিয়ে করেছিল। মুহাম্মদের বয়স তখন ৫০+, আয়িশার বয়স ৬ এর কম। অর্থাৎ, খাদিজার মৃত্যুর সপ্তাহ খানেক পরেই মুহাম্মদ আয়িশাকে স্বপ্নে দেখতে শুরু করেছে, এবং এই শিশু মেয়েকে দেখেই সে বিয়ে করার আগ্রহ তৈরি হয়েছে। একটি শিশু মেয়েকে দেখে বিয়ে বা প্রেমের চিন্তা এত বয়ষ্ক একজন মানুষের মাথায় আসে কীভাবে!
তথ্যসূত্র
- সহীহ বুখারী, ইসলামিক ফাউন্ডেশন। হাদিস নম্বরঃ ৪৭০৭ [↑]
সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত © ২০২৪ "সংশয় - চিন্তার মুক্তির আন্দোলন"