নবী মুহাম্মদ বলেছেন, নারী হচ্ছে বাঁকা [1] [2], একে সোজা করা অসম্ভব, তাই কৌশলে এর কাছ থেকে উপকার হাসিল করতে হবে। অন্যান্য সকল মানুষের মতই নারীদেরও লিঙ্গের ভিত্তিতে নয়, তাদের স্বতন্ত্র চরিত্র এবং কর্মের ভিত্তিতে বিচার করা উচিত। এটা স্বীকার করা জরুরি যে, প্রায় সকল ধর্মেই নারীর প্রতি কুসংস্কার এবং বৈষম্য ইতিহাস জুড়ে বিস্তৃত ছিল, যা মানব সমাজকে একটি প্রতিক্রিয়াশীল ব্যবস্থার দিকে পরিচালিত করেছে যা মৌলিক মানবাধিকারের সম্পূর্ণ পরিপন্থী।
“নারীরা বাঁকা বা কুটিল” এই বিশ্বাসটি কেবল ভিত্তিহীন নয় বরং ক্ষতিকারক স্টেরিওটাইপগুলিকেও যা নারীর প্রতি বৈষম্য, হয়রানি এবং সহিংসতায় অবদান রাখে। এটি সাধারণ মানুষের মধ্যে এই ধারণা তৈরি করে যে, নারীরা সহজাতভাবে অবিশ্বস্ত, তারা মিথ্যাবাদী এবং তারা কুটিল স্বভাবের। এই ধরনের বিশ্বাস নারীদের পুরুষদের তুলনায় ভিন্ন এবং প্রায়শই উচ্চ শ্রেণীর মানুষ হিসেবে সমাজে পরিচিত করে, যা তাদের জীবনের বিভিন্ন ক্ষেত্রে সফল হওয়া আরও কঠিন করে তোলে। তদুপরি, এই স্টেরিওটাইপটি এই মিথ্যা ধারণার উপর ভিত্তি করে যে মহিলারা কোনওভাবে পুরুষদের থেকে স্বভাবতই আলাদা, যা বৈজ্ঞানিক প্রমাণ দ্বারা সমর্থিত নয়। ব্যক্তিদের মধ্যে পার্থক্য তাদের অনন্য অভিজ্ঞতা, ব্যক্তিত্ব এবং পরিবেশের কারণে হয়, তাদের লিঙ্গ নয়। এই ধরনের ভিত্তিহীন অনুমানকে চ্যালেঞ্জ করা এবং লিঙ্গ সমতার প্রচার করা গুরুত্বপূর্ণ।
একইসাথে, “নারীরা বাঁকা বা কুটিল” এই বিশ্বাস সহ ক্ষতিকারক স্টেরিওটাইপ এবং কুসংস্কার প্রত্যাখ্যান করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। পরিবর্তে, আমাদের লিঙ্গ নির্বিশেষে সকল ব্যক্তির জন্য অন্তর্ভুক্তি, সম্মান এবং সমান সুযোগের প্রচারের জন্য প্রচেষ্টা করা উচিত। এতে করে আমরা বৈষম্য ও কুসংস্কারমুক্ত হয়ে আরও ন্যায়পরায়ণ ও ন্যায়ভিত্তিক সমাজ গড়ে তুলতে পারি।
সহীহ মুসলিম (ইফাঃ)
অধ্যায়ঃ ১৮/ দুধপান
পরিচ্ছদঃ ৯. মহিলাদের সম্পর্কে ওসিয়ত
৩৫১৩। হারামালা ইবনু ইয়াহইয়া (রহঃ) … আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ নারী পাজরের হাড়ের ন্যায় (বাঁকা)। যখন তুমি তাকে সোজা করতে যাবে তখন তা ভেঙ্গে ফেলবে আর তার মাঝে বক্রতা রেখে দিয়েই তা দিয়ে তুমি উপকার হাসিল করবে।
যুহায়র ইবনু হারব ও আবদ ইবনু হুমায়দ (রহঃ) … (যুহরীর ভ্রাতুষ্পুত্র তার চাচা যুহরীর সুত্রে) (উপরোক্ত সনদের ন্যায়) ইবনু শিহাব (রহঃ) সুত্রে অবিকল অনুরূপ রিওয়ায়াত করেছেন।
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
তথ্যসূত্র
- সহীহ মুসলিম, ইসলামিক ফাউন্ডেশন, হাদিস নম্বরঃ ৩৫১৩ [↑]
- সহিহ মুসলিম, খণ্ড ৩, পৃষ্ঠা ৪১৮ [↑]
সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত © ২০২৪ "সংশয় - চিন্তার মুক্তির আন্দোলন"