28.পরপুরুষের সাথে কর্কশ কণ্ঠে কথা বলতে হবে

ইসলামের বিধান হচ্ছে, কোন নারীর কোন পরপুরুষ বিশেষভাবে গায়েরে মাহরামের সাথে কথা বলা নিষেধ, তবে নিতান্তই অত্যন্ত জরুরি কোন প্রয়োজন হলে সেই নারীকে কর্কশ কণ্ঠে কথা বলতে হবে। সুমিষ্ট এবং সভ্য ভদ্রভাবে কথা বলার ব্যাপারে খুব কড়া নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। আসুন শুরুতেই ওয়াজ শুনে নিই,

কোরআনে বলা হয়েছে, [1]

হে নবী পত্নীগণ! তোমরা অন্য নারীদের মত নও। তোমরা যদি আল্লাহকে ভয় কর, তাহলে পর পুরুষের সঙ্গে আকর্ষণীয় ভঙ্গিতে কথা বলো না, যাতে যার অন্তরে ব্যাধি আছে সে প্রলুদ্ধ হয়। তোমরা সঙ্গত কথা বলবে।
— Taisirul Quran
হে নাবীর পত্নীরা! তোমরা অন্য নারীদের মত নও, যদি তোমরা আল্লাহকে ভয় কর তাহলে পর-পুরুষের সাথে কোমল কন্ঠে এমনভাবে কথা বলনা যাতে অন্তরে যার ব্যাধি রয়েছে সে প্রলুব্ধ হয় এবং তোমরা ন্যায় সঙ্গত কথা বলবে।
— Sheikh Mujibur Rahman
হে নবী-পত্নিগণ, তোমরা অন্য কোন নারীর মত নও। যদি তোমরা তাকওয়া অবলম্বন কর, তবে (পরপুরুষের সাথে) কোমল কণ্ঠে কথা বলো না, তাহলে যার অন্তরে ব্যাধি রয়েছে সে প্রলুব্ধ হয়। আর তোমরা ন্যায়সঙ্গত কথা বলবে।
— Rawai Al-bayan
হে নবী -পত্নিগণ! তোমরা অন্য নারীদের মত নও; যদি তোমরা আল্লাহর তাকওয়া অবলম্বন কর সুতরাং পর-পুরুষের সাথে কমল কন্ঠে এমন ভাবে কথা বলো না, কারণ এতে যার অন্তরে ব্যাধি আছে, সে প্রলুব্ধ হয় এবং তোমরা ন্যায়সংগত কথা বলবে।
— Dr. Abu Bakr Muhammad Zakaria

অনেক মডারেট মুসলিম বর্তমান সময়ে কোরআনের এই আয়াত দেখিয়ে দাবী করেন যে, এই আয়াত শুধুমাত্র নবীর স্ত্রীদের সম্পর্কে নাজিল হয়েছিল। অথচ তারা নিজেরাও জানে যে, ইসলামে নবীর স্ত্রীদের বিভিন্ন হুকুম দেয়ার মাধ্যমে আল্লাহ আসলে স্বাধীনা মুমিনা নারীদেরই হুকুম দিয়েছেন বহু স্থানে। এই বিষয়ে সাহাবী ও তাবে তাবেইনগণই এই রকমই বুঝেছেন যে, এই বিধান সকল মুমিনা নারীর জন্যেই প্রযোজ্য [2]

পরপুরুষ
পরপুরুষ 1
পরপুরুষ 3

তথ্যসূত্র

  1. সূরা আহজাব, আয়াত ৩২ []
  2. তাফসীরে জালালাইন, ইসলামিয়া কুতুবখানা, পঞ্চম খণ্ড, পৃষ্ঠা ১৪০, ১৪২, ১৪৩ []


সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত © ২০২৪ "সংশয় - চিন্তার মুক্তির আন্দোলন"