বেশ কিছু হাদিস গ্রন্থেই পাওয়া যায়, নবী মুহাম্মদ স্বামীকে স্ত্রীদের সিজদার উপযুক্ত বলেছিলেন।
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-১৩: বিবাহ
পরিচ্ছেদঃ ১০. তৃতীয় অনুচ্ছেদ – স্ত্রীদের সাথে সদ্ব্যবহার এবং তাদের প্রত্যেকের (স্বামী-স্ত্রীর) পারস্পরিক হক ও অধিকার সংক্রান্ত
৩২৬৬-[২৯] কায়স ইবনু সা‘দ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি (ইরাকে অবস্থিত, কূফার সন্নিকটবর্তী) ‘হীরা’ শহরে গিয়ে দেখতে পেলাম যে, তারা তাদের নেতাকে সম্মানার্থে সিজদা করছে। এটা দেখে আমি মনে মনে বললাম, নিশ্চয় রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-ই সিজদা পাওয়ার সর্বাধিক উপযুক্ত। অতঃপর আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট এসে বললাম, আমি হীরা’র সফরে দেখতে পেলাম যে, সেখানকার অধিবাসীরা তাদের নেতাকে সিজদা করে। আমি স্থির করেছি যে, আপনিই সাজদার অধিক হকদার। এ কথা শুনে তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) জিজ্ঞেস করলেন, (তবে কি আমার মৃত্যুর পরে) তুমি আমার কবরের সম্মুখ দিয়ে গমনকালে কবরকে সিজদা করবে? উত্তরে আমি বললাম, (নিশ্চয়) না। তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বললেন, না, (কস্মিনকালেও) করো না। কেননা আমি যদি (আল্লাহ ব্যতিরেকে) অপর কাউকে সিজদা করতে বলতাম তবে স্বামীদের জন্য রমণীদেরকে সিজদা করার নির্দেশ করতাম। (আবূ দাঊদ)[1]
[1] হাসান : আবূ দাঊদ ২১৪০, দারিমী ১৫০৪, মুসতাদরাক লিল হাকিম ২৭৬৩।
হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan)
বর্ণনাকারীঃ কায়েস ইবনু সা‘দ আনসারী (রাঃ)
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
অধ্যায়ঃ পর্ব-১৩ঃ বিবাহ
পাবলিশারঃ হাদিস একাডেমি
পরিচ্ছদঃ ১০. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ – স্ত্রীদের সাথে সদ্ব্যবহার এবং তাদের প্রত্যেকের (স্বামী-স্ত্রীর) পারস্পরিক হক ও অধিকার সংক্রান্ত
৩২৫৫-(১৮) আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ আমি যদি কোনো মানবকে সিজদা করার নির্দেশ দিতাম, তবে স্ত্রীকে তার স্বামীর জন্য সিজদা করার নির্দেশ দিতাম। (তিরমিযী)(1)
হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan)।
সুনান আদ-দারেমী
অধ্যায়ঃ ২. সালাত অধ্যায়
পাবলিশারঃ বাংলা হাদিস
পরিচ্ছদঃ ১৫৯. (আল্লাহ ব্যতীত) কারো উদ্দেশ্যে সাজদা করা নিষেধ
১৫০১. কাইস ইবনু সা’দ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমরা যখন (পারস্যের) হীরা নামক শহরে গমণ করলাম, সেখানে দেখলাম, তারা তাদের নেতা/ রাজাকে সিজদা করছে। তখন আমি বললাম, ইয়া রাসূলুল্লাহ! আমরা কি আপনাকে সাজদা করবো না? তিনি বললেন: “আমি যদি কোনো ব্যক্তিকে (অন্য কারো উদ্দেশ্যে) সিজদা করার নির্দেশ দিতাম, তবে অবশ্যই আমি নারীদেরকে তাদের স্বামীদের উদ্দেশ্যে সাজদা করার নির্দেশ দিতাম। কারণ, আল্লাহ তাদের (স্ত্রীলোকদের) উপর তাদের (স্বামীদের) (অনেক বেশি) হাক্ব (অধিকার) নির্ধারণ করেছেন।”(1)
হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan)