22.বয়স্ক লোকের দুধপান

ইসলামের একটি বিধান হচ্ছে, বয়স্ক লোকের সাথে কোন নারীর মেলামেশা প্রয়োজন হলে, বয়স্ক লোকটিকে সেই নারী নিজের দুধপান করিয়ে মাহরামে পরিণত করে নিবে, যেন মেলামেশাতে আর কোন সমস্যা না থাকে। কারণ দুধ খেয়ে নিলে ইসলামের দৃষ্টিতে সেই নারী তার দুধ মা হয়ে যাবে, যার সাথে বিবাহ বা যৌন সঙ্গম নিষিদ্ধ। আসুন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষকে বুকের দুধ খাইয়ে আত্মীয় করে নেয়ার সেই হাদিসগুলো পড়ে নিই। হাদিসগুলো নিচে দেয়া হচ্ছে [1] [2] [3] [4] [5] [6] [7] [8] [9]

সহীহ মুসলিম (ইসলামিক ফাউন্ডেশন)
১৮/ দুধপান
পরিচ্ছেদঃ পরিচ্ছেদ নাই
৩৪৬৯। আমরুন নাকিদ ও ইবনু আবূ উমর (রহঃ) … আয়িশা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, সুহায়লের কন্যা সাহলা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট হাযির হায়ে বলল, ইয়া রাসুলাল্লাহ! আমার সাথে সালিমের দেখা সাক্ষাৎ করার কারণে আমি আবূ হুযায়ফার মুখমণ্ডলে অসন্তুষ্টির আলামত দেখতে পাচ্ছি অথচ সালিম হল তার হালীফ (পোষ্য পূত্র)। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ তুমি তাকে দুধপান করিয়ে দাও। তিনি বললেন, আমি কেমন করে তাকে দুধপান করাব, অথচ সে একজন বয়স্ক পূরুষ। এতে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মুচকি হাসি দিলেন এবং বললেন, আমি জানি যে, সে একজন বয়স্ক পুরুষ। আম্‌র (রাবী) তাঁর হাদীসে অতিরিক্ত বলেছেন, সালিম বদর যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিলেন। আর ইবনু আবূ উমরের বর্ণনায় রয়েছে যে, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হেসে দিলেন।
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আয়িশা (রাঃ)

সহীহ মুসলিম (ইসলামিক ফাউন্ডেশন)
১৮/ দুধপান
পরিচ্ছেদঃ পরিচ্ছেদ নাই
৩৪৭০। ইসহাক ইবনু ইবরাহীম হানযালী ও মুহাম্মাদ ইবনু আবূ উমর (রহঃ) … আয়িশা (রাঃ) থেকে বর্ণিত যে, আবূ হুযায়ফার দাস সালিম (রহঃ) আবূ হুযায়ফা ও তাঁর পরিবারের সাথে একই ঘরে বসবাস করত। একদা সুহায়লের কন্যা (হুযায়ফার স্ত্রী) রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট নিকট এসে বলল, সালিম বয়স্ক পুরুষের স্তরে পৌছে গেছে, সে বুঝে লোকে যা বুঝতে পারে অথচ সে আমাদের নিকট প্রবেশ করে থাকে। আমি ধারণা করি এই কারণে আবূ হুযায়ফার মনে অভিযোগের ভাব সৃষ্টি হয়েছে। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে বললেন, তুমি তাকে দুধপান করিয়ে দাও, তুমি তার জন্য হারাম হয়ে যাবে এবং আবূ হুযায়ফার মনের অভিযোগ দুরীভূত হবে। তারপর তিনি তার (আবূ হুযায়ফার) নিকট ফিরে এসে বললেন, আমি তাকে (সালিমকে) দুধপান করিয়েছি। তাতে আবূ হুযায়ফার মনের অসন্তোষ দুর হয়ে যায়।
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আয়িশা (রাঃ)

সহীহ মুসলিম (ইসলামিক ফাউন্ডেশন)
১৮/ দুধপান
পরিচ্ছেদঃ পরিচ্ছেদ নাই
৩৪৭২। মুহাম্মাদ ইবনুল মূসান্না (রহঃ) … উম্মু সালমা (রাঃ) আয়িশা (রাঃ)-কে বললেন, তোমার নিকট বালিগ হওয়ার নিকটর্তী ছেলে প্রবেশ করে থাকে, কিন্তু আমার নিকট ঐ ধরনের ছেলের প্রবেশ করাকে পছন্দ করি না। রাবী বলেন, আয়িশা (রাঃ) বললেন, তোমার জন্য কি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর মধ্যে সুন্দর আদর্শ বিদ্যমান নেই? তিনি আরো বললেন, একদা আবূ হুযায়ফার স্ত্রী আরয করল, ইয়া রাসুলাল্লাহ! সালিম আমার নিকট প্রবেশ করে থাকে, অথচ সে একজন বয়স্ক পুরুষ এবং এ জন্য আবূ হুযায়ফার অন্তরে কিছুটা অসন্তোষভাব বিদ্যমান। তখন রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ তুমি তাকে তোমার দুধ পান করিয়ে দাও যাতে সে তোমার নিকট প্রবেশ করতে পারে।
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ উম্মু সালামাহ (রাঃ)

সহীহ মুসলিম (ইসলামিক ফাউন্ডেশন)
১৮/ দুধপান
পরিচ্ছেদঃ পরিচ্ছেদ নাই
৩৪৭৩। আবূ তাহির ও হারুন ইবনু সাঈদ আয়লী (রহঃ) … রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সহধর্মিনী উম্মু সালামা (রাঃ) একদিন আয়িশা (রাঃ)-কে বললেন, আল্লাহর কসম আমি পছন্দ করি না যে, যে ছেলে দুধপানের বয়স পার হয়ে গেছে, সে আমাকে দেখুক। তিনি বললেন, কেন? একদা সুহায়লের কন্যা সাহলা রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট উপস্থিত হয়ে বলল, ইয়া রাসুলাল্লাহ! আল্লাহর কসম! আমার নিকট সালিমের প্রবেশ করার কারণে আমি আবূ হুযায়ফার মুখমণ্ডলে অসন্তোষের লক্ষণ দেখতে পাচ্ছি। আয়িশা (রাঃ) বলেন, তখন রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ তাকে তোমার দুধপান করিয়ে দাও। সাহলা বললেন, সে (সালিম) তো দাড়িবিশিষ্ট। তিনি বললেন, তুমি তাকে দুধ পান করিয়ে দাও, তাতে আবূ হুযায়ফার মুখমন্ডলের মলিনতা দূর হয়ে যাবে। সাহলার বর্ণনা, আমি আল্লাহর কসম করে বলছি যে, তারপরে আমি আবূ হুযায়ফার চেহারায় মলিনতা আর দেখতে পাই নি।
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ উম্মু সালামাহ (রাঃ)

সুনান ইবনু মাজাহ
৯/ বিবাহ
পরিচ্ছেদঃ ৯/৩৬. বয়স্ক লোকে দুধ পান করলে
১/১৯৪৩। ‘আয়িশাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, সাহ্লা বিনতে সুহাইল (রাঃ) নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর নিকট এসে বললো, ইয়া রাসূলুল্লাহ্! আমার নিকট সালেমের যাতায়াতের কারণে আমি (আমার স্বামী) আবূ হুযাইফাহর চেহারায় অসন্তুষ্টির ভাব লক্ষ্য করি। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ তুমি তাকে দুধ পান করিয়ে দাও। সে বললো, আমি তাকে কিভাবে দুধপান করাবো, সে যে বয়স্ক পুরুষ? রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মুচকি হেসে বলেনঃ আমিও অবশ্য জানি যে, সে বয়স্ক পুরুষ। সে তাই করলো, দুধ পান করানোর পর আবূ হুযাইফাহর চেহারায় আমি কোন অপছন্দের ভাব লক্ষ্য করিনি। (রাবী বলেন), তিনি বদর যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন।
সহীহুল বুখারী ৪০০০, ৫০৮৮, মুসলিম ১৪৫৩, নাসায়ী ৩২২৩, ৩২৩৪, ৩৩১৯, ৩৩২০, ৩৩২১, ৩৩২২, ৩৩২৩, আবূ দাউদ ২০৬১, আহমাদ ২৫১২১, মুয়াত্তা মালেক ১২৮৮, দারেমী ২২৫৭, ইরওয়াহ ৬/২৬৪, রওদুন নাদীর ৩৫৪
তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আয়িশা (রাঃ)

সুনান ইবনু মাজাহ
৯/ বিবাহ
পরিচ্ছেদঃ ৯/৩৫. এক ঢোক অথবা দু’ ঢোকে দুধপানে হুরমত সাব্যস্ত হয় না।
৩/১৯৪২। ‘আয়িশাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, প্রথমদিকে কুরআনে এই বিধান ছিলো, যা পরে রহিত হয়ে যায়ঃ দশ ঢোক বা পাঁচ ঢোক দুধ পানের কমে নিষিদ্ধতা প্রতিষ্ঠিত হয় না।
সহীহুল বুখারী ১৪৫২, ইবনু মাজাহ ১৯৪৪, নাসায়ী ৩৩০৭, ২০৬২, মুয়াত্তা মালেক ১২৯৩, দারেমী ২২৫৩, ইরওয়াহ ২১৪৭, তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আয়িশা (রাঃ)

সহীহ মুসলিম (হাঃ একাডেমী)
অধ্যায়ঃ ১৮। দুধপান
পরিচ্ছদঃ ৬. (কোন মহিলার দুধ) পাঁচ চুমুক খাওয়াতে হারাম সাব্যস্ত হওয়া প্রসঙ্গে
৩৪৯০-(২৫/…) আবদুল্লাহ ইবনু মাসলামাহ্ আল কা’নাবী (রহঃ) ….. আমরাহ (রহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি আয়িশাহ (রাযিঃ) কে বলতে শুনেছেন, যখন তিনি দুধপানের ঐ পরিমাণ সম্পর্কে আলোচনা করলেন যার দ্বারা হারাম সাব্যস্ত হয়। আমরাহ বললেন যে, আয়িশাহ (রাযিঃ) বলেছিলেন, আল-কুরআনে নাযিল হয় عَشْرُ رَضَعَاتٍ مَعْلُومَاتٍ “নির্ধারিত দশবার দুধপানে”। অতঃপর নাযিল হয় خَمْسٌ مَعْلُومَاتٌ “নির্ধারিত পাঁচবার দুধপানে।” (ইসলামিক ফাউন্ডেশন ৩৪৬৩, ইসলামীক সেন্টার. ৩৪৬২)
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)

সহীহ মুসলিম (ইফাঃ)
অধ্যায়ঃ ১৮/ দুধপান
পরিচ্ছদঃ পরিচ্ছেদ নাই
৩৪৬৬। ইয়াহইয়া ইবনু ইয়াহইয়া (রহঃ) … আয়িশা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, কুরআনে এই আয়াতটি নাযিল হয়েছিলঃ عَشْرُ رَضَعَاتٍ مَعْلُومَاتٍ ‘দশবার দুধপানে হারাম সাবিত হয়।’ তারপর তা রহিত হয়ে যায় خَمْسٍ مَعْلُومَاتٍ এর দ্বারা। (পাঁচবার পান দ্বারা হুরমত সাব্যস্ত হয়) তারপর রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইন্তেকাল করেন অথচ ঐ আয়াতটি কুরআনের আয়াত হিসাবে তিলাওয়াত করা হত।
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)

উপরের হাদিসে লক্ষ্য করুন, নবীর মৃত্যু অবধি পাঁচবার দুধপানে হারাম সাব্যস্ত হওয়ার কোরআনের আয়াত তিলাওয়াত করা হতো। হাদিসের মধ্যে অথচ শব্দটি লক্ষ্য করুন। তাহলে সেই আয়াতটি কোথায়? এরপরে তো নবীর মৃত্যু হল, তাহলে নবীর মৃত্যুর পরে সেই আয়াতটি রহিত করলো কে বা কারা? কোরআনে বলা আছে, আল্লাহ একটি আয়াত রহিত করলে তার চেয়ে ভাল আরেকটি আয়াত আনেন। তাহলে দশবার দুধপানের আয়াত রহিত করে পাঁচবার করা হল, পাঁচবার দুধপানের আয়াত রহিত করে নিশ্চয়ই কোন আয়াত এসেছিল! যেই আয়াতটি পাঁচবারের হুকুমকে রহিত করে নাজিল হয়েছিল, সেটি কোথায়? নাকি পাঁচবার দুধপানের আয়াতটি কেউ গোপন করে ফেলেছে? [10] [11]

আমি কোন আয়াত রহিত করলে কিংবা ভুলিয়ে দিলে, তাত্থেকে উত্তম কিংবা তারই মত আয়াত নিয়ে আসি, তুমি কি জান না যে, আল্লাহ প্রত্যেক বস্তুর উপর ক্ষমতাবান।
— Taisirul Quran
আমি কোন আয়াতের হুকুম রহিত করলে কিংবা আয়াতটিকে বিস্মৃত করিয়ে দিলে তদপেক্ষা উত্তম অথবা তদনুরূপ আয়াত আনয়ন করি। তুমি কি জাননা যে, আল্লাহ সর্ব বিষয়ের উপরই ক্ষমতাবান?
— Sheikh Mujibur Rahman
আমি যে আয়াত রহিত করি কিংবা ভুলিয়ে দেই, তার চেয়ে উত্তম কিংবা তার মত আনয়ন করি। তুমি কি জান না যে, আল্লাহ সব কিছুর উপর ক্ষমতাবান।
— Rawai Al-bayan
আমরা কোনো আয়াত রহিত করলে বা ভুলিয়ে দিলে তা থেকে উত্তম অথবা তার সমান কোনো আয়াত এনে দেই [১] আপনি কি জানেন না যে, আল্লাহ্‌ সব কিছুর উপর ক্ষমতাবান।
— Dr. Abu Bakr Muhammad Zakaria

আমি যখন এক আয়াতের বদলে অন্য আয়াত নাযিল করি- আর আল্লাহ ভালভাবেই জানেন, যা তিনি নাযিল করেন– তখন এই লোকেরা বলে, ‘তুমি তো মিথ্যা রচনাকারী।’ প্রকৃত ব্যাপার এই যে, এ সম্পর্কে তাদের অধিকাংশেরই কোন জ্ঞান নেই।
— Taisirul Quran
আমি যখন এক আয়াতের পরিবর্তে অন্য এক আয়াত উপস্থিত করি, আর আল্লাহ যা অবতীর্ণ করেন তা তিনিই ভাল জানেন, তখন তারা বলেঃ তুমিতো শুধু মিথ্যা উদ্ভাবনকারী, কিন্তু তাদের অধিকাংশই জানেনা।
— Sheikh Mujibur Rahman
আর যখন আমি একটি আয়াতের স্থানে পরিবর্তন করে আরেকটি আয়াত দেই- আল্লাহ ভাল জানেন সে সম্পর্কে, যা তিনি নাযিল করেন– তখন তারা বলে, তুমি তো কেবল মিথ্যা রটনাকারী; রবং তাদের অধিকাংশই জানে না।
— Rawai Al-bayan
আর যখন আমরা এক আয়াতের স্থান পরিবর্তন করে অন্য আয়াত দেই— আর আল্লাহ্‌ই ভাল জানেন যা তিনি নাযিল করবেন সে সম্পর্কে— , তখন তারা বলে, ‘আপনি তো শুধু মিথ্যা রটনাকারী’, বরং তাদের অধিকাংশই জানে না।
— Dr. Abu Bakr Muhammad Zakaria

আসুন আরেকটি হাদিস পড়ি, [12]

সুনান ইবনু মাজাহ
৯/ বিবাহ
পরিচ্ছেদঃ ৯/৩৬. বয়স্ক লোকে দুধ পান করলে।
২/১৯৪৪। ‘আয়িশাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রজম সম্পর্কিত আয়াত এবং বয়স্ক লোকেরও দশ ঢোক দুধপান সম্পর্কিত আয়াত নাযিল হয়েছিল, যা একটি সহীফায় (লিখিত) আমার খাটের নিচে সংরক্ষিত ছিল। যখন রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইন্তিকাল করেন এবং আমরা তাঁর ইন্তিকালে ব্যতিব্যস্ত হয়ে পড়লাম, তখন একটি ছাগল এসে তা খেয়ে ফেলে।
মাজাহ ১৯৪৪ সহীহুল বুখারী ১৪৫২, নাসায়ী ৩৩০৭, ২০৬২, মুয়াত্তা মালেক ১২৯৩, দারেমী ২২৫৩, তা’লীক ইবনু মাজাহ।
তাহকীক আলবানীঃ হাসান। উক্ত হাদিসের রাবী মুহাম্মাদ বিন ইসহাক সম্পর্কে ইয়াহইয়া বিন মাঈন ও আজালী বলেন, তিনি সিকাহ। আহমাদ বিন হাম্বল বলেন, তিনি হাসানুল হাদিস। আলী ইবনুল মাদীনী বলেন, তিনি সালিহ। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ৫০৫৭, ২৪/৪০৫ নং পৃষ্ঠা)
হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan)
বর্ণনাকারীঃ আয়িশা (রাঃ)

অনুবাদ থেকে মনে হচ্ছে, এই হাদিসে পাত্র দুধ ঢেলে নয়, বরঞ্চ সরাসরি চুষে খাওয়ার কথাই বলা হচ্ছে। তারপরেও আমরা এখনো এই বিষয়টি সম্পর্কে নিশ্চিত নই, আসুন আরো নিশ্চিত হওয়ার জন্য সুন্নাহ ডট কম থেকে এর ইংরেজি অনুবাদটি পড়ি,

17. The Book of Suckling
(7) Chapter: Breastfeeding an adult
‘ A’isha (Allah be pleased with her) reported that Sahla bint Suhail came to Allah’s Apostle (may peace be eupon him) and said:
Messengerof Allah, I see on the face of Abu Hudhaifa (signs of disgust) on entering of Salim (who is an ally) into (our house), whereupon Allah’s Apostle (ﷺ) said: Suckle him. She said: How can I suckle him as he is a grown-up man? Allah’s Messenger (ﷺ) smiled and said: I already know that he is a young man ‘Amr has made this addition in his narration that he participated in the Battle of Badr and in the narration of Ibn ‘Umar (the words are): Allah’s Messenger (ﷺ) laughed.
Reference : Sahih Muslim 1453a
In-book reference : Book 17, Hadith 33
USC-MSA web (English) reference : Book 8, Hadith 3424

এবারে আসুন বর্তমানে প্রচলিত হাদিসের মধ্যে সবচাইতে প্রাচীন হাদিস গ্রন্থ মুয়াত্তা মালিকের হাদিস গ্রন্থ থেকে দেখি, দুধ পাত্রে পান করাতে হবে নাকি সরাসরি চোষাতে হবে [13]

মুয়াত্তা মালিক
৩০. সন্তানের দুধ পান করানোর বিধান সম্পর্কিত অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ ১. শিশুদের দুধ পান করানো
রেওয়ায়ত ৭. নাফি’ (রহঃ) হইতে বর্ণিত, সালিম ইবন আবদিল্লাহ (রহঃ) তাহার নিকট বর্ণনা করিয়াছেন যে, তিনি যখন দুগ্ধপোষ্য ছিলেন, তখন আয়েশা উম্মুল মু’মিনীন (রাঃ) তাহাকে পাঠাইলেন তাহার ভগ্নী উম্মে কুলসুম বিনত আবী বকর (রাঃ) এর নিকট এবং বলিয়া দিলেন- ইহাকে (সালিমকে) দশবার দুধ চোষাইয়া দিন, যেন সে আমার নিকট প্রবেশ করিতে পারে। সালিম বলেনঃ উম্মে কুলসুম আমাকে তিনবার দুধ চোষাইয়াছেন। তারপর আমি পীড়িত হই, তাই আমাকে তিনবার ছাড়া আর দুধ পান করান নাই, যেহেতু উম্মে কুলসুম আমাকে দশবার দুধ পান করান নাই তাই আমি আয়েশা (রাঃ)-এর নিকট প্রবেশ করিতাম না।
হাদিসের মানঃ তাহকীক অপেক্ষমাণ
বর্ণনাকারীঃ নাফি‘ (রহঃ)

মুয়াত্তা মালিক
৩০. সন্তানের দুধ পান করানোর বিধান সম্পর্কিত অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ ৩. দুধ পান করানোর বিবিধ বিষয়
রেওয়ায়ত ১৭. আমরা বিনত আবদির রহমান (রহঃ) হইতে বর্ণিত, নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর পত্নী আয়েশা (রাঃ) বলিয়াছেনঃ কুরআনে যাহা অবতীর্ণ হইয়াছিল তাহাতে দশবার দুধ চোষার কথা নির্ধারিত ছিল, যাহা হারাম করিবে, তারপর উহা রহিত হইয়া যায় নির্ধারিত পাঁচবার দুগ্ধ চোষার (অবতীর্ণ হুকুমের) দ্বারা। অতঃপর রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়া সাল্লামের ওফাত হয় তখনও সেই পাঁচবার দুধ চোষার (হুকুমের অংশ) সম্মিলিত আয়াত তিলাওয়াত করা হইত।
মালিক (রহঃ) বলেনঃ ইহার উপর আমল নাই। অর্থাৎ পাঁচবারের উপর আমল নাই। দুগ্ধ পান অল্প হউক বা বেশি হউক বিবাহ সম্পর্ক হারাম করিবে।
হাদিসের মানঃ তাহকীক অপেক্ষমাণ
বর্ণনাকারীঃ আমরাহ বিনতু আবদুর রহমান (রহঃ)

1
3

তথ্যসূত্র

  1. সহীহ মুসলিম, ইসলামিক ফাউন্ডেশন, হাদিসঃ ৩৪৬৯ []
  2. সহিহ মুসলিম, ইসলামিক ফাউন্ডেশন, তৃতীয় খণ্ড, পৃষ্ঠা ৪০০ []
  3. সহীহ মুসলিম, ইসলামিক ফাউন্ডেশন, হাদিসঃ ৩৪৭০ []
  4. সহীহ মুসলিম, ইসলামিক ফাউন্ডেশন, হাদিসঃ ৩৪৭২ []
  5. সহীহ মুসলিম, ইসলামিক ফাউন্ডেশন, হাদিসঃ ৩৪৭৩ []
  6. সুনান ইবনু মাজাহ, হাদিসঃ ১৯৪৩ []
  7. সুনান ইবনু মাজাহ, হাদিসঃ ১৯৪২ []
  8. সহীহ মুসলিম, হাদিস একাডেমী, হাদিসঃ ৩৪৯০ []
  9. সহীহ মুসলিম, ইসলামিক ফাউন্ডেশন, হাদিসঃ ৩৪৬৬ []
  10. সূরা বাকারাঃ ১০৬ []
  11. সূরা নাহলঃ ১০১ []
  12. সুনান ইবনু মাজাহ, হাদিসঃ ১৯৪৪ []
  13. মুয়াত্তা ইমাম মালেক, ইসলামিক ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ, ২য় খণ্ড, পৃষ্ঠা ২৩২, ২৩৩, ২৩৮ []


সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত © ২০২৪ "সংশয় - চিন্তার মুক্তির আন্দোলন"