15.কোরআনে কয়লার মিরাকল?

কোরআনে সূরা বাকারাহ’র ২৪ নং আয়াতে বলা হয়েছে, জাহান্নামের জ্বালানি হবে মানুষ এবং পাথর। এ থেকে ইসলামিস্টদের দাবী হচ্ছে, কোরআন কীভাবে এত বছর আগে কয়লার কথা জানলো? অর্থাৎ ইসলামিস্টগণ বলতে চাচ্ছেন, কোরআন একটি অলৌকিক কেতাব, নইলে পাথর যে জ্বালানি হসেবে ব্যবহৃত হতে পারে, এটি এত বছর আগে মুহাম্মদের জানার কথা না।

কিন্তু ১৪০০ বছর আগে আরবদের কাছে কয়লা অপরিচিত থাকার কথা নয়, কেননা ইসলামের হাজার বছর আগেই বাইবেলও কয়লার কথা বলেছে। আর যেহেতু বাইবেলে জলন্ত কয়লার কথা এসেছে, সেহেতু ১৪০০ বছর আগে নবীর কয়লার সাথে পরিচিত থাকা অস্বাভাবিক ছিলো না।

Then Moses said to Aaron, “Take your censer and put incense in it, along with burning coals from the altar, and hurry to the assembly to make atonement for them. Wrath has come out from the LORD; the plague has started.”
(The Bible, Numbers 16:46)

তখন মোশি হারোণকে বলল, “ধুনুচি নিয়ে তাতে বেদী থেকে আগুন নিয়ে রাখো। এরপর এতে সুগন্ধি ধূপধূনো দাও এবং ঐ লোকদের কাছে তাড়াতাড়ি গিয়ে তাদের পবিত্র করো। কারণ প্রভু তাদের প্রতি খুবই ক্রুদ্ধ হয়ে আছেন। ইতিমধ্যেই রোগ ছড়াতে শুরু করেছে।”
(পবিত্র বাইবেল, গণনাপুস্তক ১৬:৪৬)

যারা দাবি করেন নবী কয়লা সম্পর্কে কিছু জানতেন না তারা বোধহয় হাদিসগ্রন্থসমূহ কখনো ভালো করে পড়ে দেখেননি। যদি তা না হয়ে থাকে তাহলে তারা সজ্ঞানে মিথ্যার আশ্রয় নেন। কেননা, সুনানে ইবনে মাজাহ গ্রন্থের একটি হাদিস অনুসারে নবী একদা বলেছেন, কারো কবরের উপর বসার চাইতে জলন্ত কয়লার ওপর বসা উত্তম। এ হাদিস থেকে পরিষ্কারভাবেই বোঝা যায় যে, তিনি কয়লার সাথে অপরিচিত ছিলেন না।

Collection
Sunan Ibn Majah
Dar-us-Salam reference
Volume 2, Book 6, Hadith 1566
In-book reference
Book 6, Hadith 1633
Reference
Hadith 1566
It was narrated from Abu Hurairah said:
The Messenger of Allah (ﷺ) said: “If one of you were to sit on a live coal that burns him, that would be better for him than if he were to sit on a grave.”

সুনানে ইবনে মাজাহ
অধ্যায়ঃ ৬/ জানাযা
৬/৪৫. কবর মাড়ানো এবং তার উপর বসা নিষেধ।
১/১৫৬৬। আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ কবরের উপর তোমাদের কারো বসার চাইতে জ্বলন্ত অঙ্গারের উপর বসা তার জন্য উত্তম।
মুসলিম ৯৭১; নাসাঈ ২০৪৪; আবূ দাউদ ৩২২৮, আহমাদ ৮০৪৬, ৮৮১১, ৯৪৩৯ তাহকীক আলবানীঃ সহীহ। হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)