একবার মুহাম্মদের কাছে একটি আয়াত নাজিল হলো। মুহাম্মদের পাশে ছিল একজন অন্ধ সাহাবী, যার নাম আমর ইবন উম্মে মাকতুম। ঐ আয়াতে অন্ধদের বিষয়টি নিয়ে কিছু বলা হয় নি। এই কারণে তিনি মুহাম্মদের কাছে জানতে চাইলেন, অন্ধদের বেলায় কী হবে? মুহাম্মদ তাৎক্ষণিক আগের আয়াতটি বদলে অর্থাৎ একটু আগে বলা আয়াতটি পরিবর্তন করে নতুন আয়াত নাজিল করলেন। সর্বজ্ঞানী আল্লাহ পাক যেই আয়াত শুরুতে নাজিল করেছিলেন, তাতে সংশোধনী আনতে হলো। অর্থাৎ, ঐ অন্ধ ব্যক্তি পাশে না থাকলে আগের আয়াতটিই এখনো মুসলিমগণ পড়তো। অন্যান্য যে সকল আয়াত নাজিল হয়েছে, আয়াত নাজিলের সময় পাশে অন্ধ, প্রতিবন্ধী বা অন্যান্য মানুষজন যদি বসে থাকতেন, সেই আয়াতগুলোও হয়তো বদলে যেতো। ঘটনাটি বর্ণিত আছে সহিহ বুখারী শরীফে [1] –
সহীহ বুখারী (তাওহীদ পাবলিকেশন)
৬৬/ আল-কুরআনের ফাযীলাতসমূহ
পরিচ্ছেদঃ ৬৬/৪. নাবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কাতিব (ওয়াহী লিখক)
৪৯৯০. বারাআ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, لَايَسْتَوِي الْقَاعِدُوْنَ مِنَ الْمُؤْمِنِيْنَ ….وَالْمُجَاهِدُوْنَ فِيْسَبِيْلِ اللهِ আয়াতটি অবতীর্ণ হলে নবী সাল্লাল্লাহু ’আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, যায়দকে আমার কাছে ডেকে আন এবং তাকে বল সে যেন কাষ্ঠখন্ড, দোয়াত এবং কাঁধের হাড় (রাবী বলেন- অথবা তিনি বলেছেন, কাঁধের হাড় এবং দোয়াত) নিয়ে আসে। এরপর তিনি বললেন, লিখ। এ সময় অন্ধ সাহাবী আমর ইবনু উম্মু মাকতূম (রাঃ) নবী সাল্লাল্লাহু ’আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর পেছনে বসা ছিলেন। তিনি বললেন, আমি তো অন্ধ, আমার ব্যাপারে আপনার কী নির্দেশ? এ কথার প্রেক্ষিতে পূর্বোক্ত আয়াতের পরিবর্তে অবতীর্ণ হলঃ ’’সমান নয় সেসব মু’মিন যারা বিনা ওজরে ঘরে বসে থাকে এবং ঐসব মু’মিন যারা আল্লাহর পথে নিজেদের জানমাল দিয়ে জিহাদ করে’’- (সূরাহ আন-নিসা ৪/৯৫)। [২৮৩১] (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৪৬১৯, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৪৬২৪)
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ বারা’আ ইবনু আযিব (রাঃ)
তথ্যসূত্র
- সহিহ বুখারী, ইসলামিক ফাউন্ডেশন, অষ্টম খণ্ড, পৃষ্ঠা ৩৩৯-৩৪০, হাদিস নম্বরঃ ৪৬২৪ [↑]
সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত © ২০২৪ "সংশয় - চিন্তার মুক্তির আন্দোলন"