সুনানু আবু দাউদ শরীফের হাদিস থেকে একটি বিষয় জানা যায় যে, প্রতিটি সূরার আগে বিসমিল্লাহ পড়ার পদ্ধতিটি একটি নির্দিষ্ট সময়ে শুরু হয়, যার আগে বোঝা যেত না এটি কোন সূরার শুরু কিনা [1] [2]
সুনান আবূ দাউদ (ইসলামিক ফাউন্ডেশন)
২/ সালাত (নামায)
পরিচ্ছেদঃ ১৩১. উচ্চস্বরে বিসমিল্লাহ্ পাঠ করার বর্ণনা।
৭৮৮. কুতায়বা ইবনু সাঈদ …. ইবনু আব্বাস (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের উপর বিস্মিল্লাহির রাহমানির রাহীম নাযিল না হওয়া পর্যন্ত কোন সূরার শুরু চিহ্নিত করতে পারতেন না। হাদীছের এই পাঠ ইবনুস সারহ্-এর।
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবদুল্লাহ ইবনু আব্বাস (রাঃ)
উপরে যেই হাদিসটি বর্ণিত হয়েছে, সেখানে বলা হচ্ছে, “বিসমিল্লাহ” সূরা নামল এর আয়াত, অন্য কোন সূরার আয়াত নয়। এই আয়াতটি নাজিল হওয়ার পরে মুহাম্মদ প্রতিটি সূরার শুরুতে এটি পড়তেন। তার মানে, এই আয়াতটি নাজিল হওয়ার আগ পর্যন্ত প্রতিটি সূরা নাজিল হয়েছিল বিসমিল্লাহ ছাড়া। তাহলে, আল্লাহ যেহেতু আগের সূরাগুলোতে বিসমিল্লাহ যুক্ত করে দেন নি, বর্তমান কোরআনে প্রতিটি সূরার শুরুতে (সূরা তওবা বাদে) বিসমিল্লাহ কেন কোরআনে অন্তর্ভূক্ত হলো? আল্লাহ তো আগের ঐ সূরাগুলো বিসমিল্লাহ ছাড়াই নাজিল করেছিলেন।
এই বিষয়ে তাফসীরে জালালাইনে কী বলা রয়েছে, তা পড়ে নিই [3] –
তথ্যসূত্র
- সুনান আবূ দাউদ, ইসলামিক ফাউন্ডেশন, হাদিসঃ ৭৮৮ [↑]
- সুনানু আবু দাউদ শরীফ, ইসলামিক ফাউন্ডেশন, প্রথম খণ্ড, পৃষ্ঠা ৪২৮, হাদিস নম্বর ৭৮৭-৭৮8 [↑]
- তাফসীরে জালালাইন, জালালুদ্দিন মহল্লী এবং জালালুদ্দিন সুয়ুতী, ইসলামিয়া কুতুবখানা প্রকাশনী, সপ্তম খণ্ড, পৃষ্ঠা ৬২৯ [↑]
সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত © ২০২৪ "সংশয় - চিন্তার মুক্তির আন্দোলন"