27.মুমিনের যুক্তিঃ স্বামীহীন মেয়েদের আশ্রয়দান?

লাজলজ্জার মাথা খেয়ে অনেক মুসলিমকেই দাবী করতে শোনা যায়, অসহায় যুদ্ধবন্দী নারীদের স্বামীরা তাদের ফেলে পালিয়ে যাওয়ায় বা নিহত হওয়ায় সেইসব মেয়েদের জন্য দয়াল নবীর মন কাঁদতো, তাই নিতান্তই মানবতার স্বার্থে নবী তাদের সাহাবীদের সাথে সঙ্গম করতে দিতেন যেন সেই মেয়েরা নতুন এক আশ্রয় পায়। অথচ এই কথাগুলোও একেবারেই মিথ্যা কথা। সেই সময়ে অনেক মেয়েদের স্বামীরা পর্যন্ত বন্দী হতো। স্বামীদের সামনেই তাদের স্ত্রীদের তুলে নিয়ে ধর্ষণ করতো দয়াল নবীর জিহাদী সাহাবীগণ। নিচের হাদিসটি দেখুন [1] [2]

সূনান আবু দাউদ (ইসলামিক ফাউন্ডেশন)
৬/ বিবাহ
পরিচ্ছেদঃ ১৩৯. বন্দী স্ত্রীলোকের সাথে সহবাস করা।
২১৫২. উবায়দুল্লাহ্ ইবন উমার ইবন মায়সার …… আবূ সাঈদ আল খুদরী (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হুনায়নের যুদ্ধের সময় আওতাস্ নামক স্থানে একটি সৈন্যদল প্রেরণ করেন। তারা তাদের শত্রুদের সাথে মুকাবিলা করে তাদেরকে হত্যা করে এবং তাদের উপর বিজয়ী হয়। আর এই সময় তারা কয়েদী হিসাবে (হাওয়াযেন গোত্রের) কিছু মহিলাকে বন্দী করে। তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কিছু সাহাবী তাদের সাথে অনধিকারভাবে সহবাস করা গুনাহ মনে করে, কেননা তাদের মুশরিক স্বামীরা তখন বন্দী ছিল তখন আল্লাহ্ তা’আলা এই আত নাযিল করেনঃ (অর্থ) যে সমস্ত স্ত্রীলোকদের স্বামী আছে তারা তোমাদের জন্য হারাম। তবে যারা তোমাদের অধিকারভুক্ত দাসী অর্থাৎ যেসব মহিলা যুদ্ধবন্দী হিসাবে তোমাদের আয়ত্বে আসবে তারা ইদ্দত (হায়েযের) পূর্ণ করার পর তোমাদের জন্য হালাল।
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ সা’ঈদ খুদরী (রাঃ)

তথ্যসূত্র

  1. সূনান আবু দাউদ, ইসলামিক ফাউন্ডেশন, হাদিসঃ ২১৫২ []
  2. সূনান আবু দাউদ, ইসলামিক ফাউন্ডেশন, খণ্ড ৩, পৃষ্ঠা ১৬০ []


সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত © ২০২৪ "সংশয় - চিন্তার মুক্তির আন্দোলন"